হাওড়-বাওড়, বিল-ঝিল বেষ্টিত নাসিরনগর উপজেলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্ব উত্তরে অবস্থিত। নাসিরনগর উপজেলাটির উত্তরে-সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলা। উত্তর-পূর্ব দিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা। পূর্বে মাধবপুর উপজেলা। দক্ষিণ-পূর্বে মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। দক্ষিণে সরাইল উপজেলা। পশ্চিমে মেঘনা নদী। জেলা সদর হতে এর দূরত্ব প্রায় ২৮ কিলোমিটার। জেলা সদরের যোগাযোগের মাধ্যম সড়ক ও নদী পথ। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই পশ্চাদগামী। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন অঞ্চলে যাবার প্রধান মাধ্যম নৌ যোগাযোগ। এছাড়া আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যম সড়ক ও নৌপথ। উপজেলার অনেক জায়গাতে আজও পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে শীতকালসহ শুকনা মৌসুমে এ উপজেলার অনেক অঞ্চলের যোগাযোগো মাধ্যম একমাত্র পায়ের পথ। কোথাও এর দূরত্ব প্রায় ১০(দশ) কিলোমিটার। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতিকরণে এ অঞ্চলের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, জনগণও প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। এ উপজেলার প্রায় ৭১% লোক কৃষিজীবি, ১০% লোক মৎস্যজীবি এবং বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে আছেন বাকী সকল। বিশেষ করে এ অঞ্চলে প্রবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। উপজেলার প্রধান ফসল ধান, গম, পাট, সরিষা,আলু ও নানা রকম শাকসব্জি। এ অঞ্চলে নানা জাতের মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায়। উপজেলার লোকজন নদী,পুকুর ও নলকূপের পানি গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহার করেন। উপজেলার আর্সেনিক আক্রান্ত নলকূপের সংখ্যা প্রায় ৩০%। এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে সেনিটেশন কভারেজ গড়ে ৮০%। শিক্ষার হার ৩০.৪৯%। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক ছেলে মেয়ে শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত। উপজেলাটি হাওড় বেষ্টিত হওয়ায় সারাবছর কাজ করার সুযোগ থাকে না। কেবল রবি ও ইরি মৌসুমে কাজের সুযোগ থাকে। তাছাড়া এ উপজেলার বেশীর ভাগ জমি এক ফসলি, অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন অনেক মানুষ। তবে এখানকার মানুষ খুবই পরিশ্রমী ও কর্মঠ। কাজের প্রতি তাদেরও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলে এ উপজেলার মানুষের জীবন যাত্রার চাকা ঘুরানো সম্ভব।
আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক অবস্থানঃ
নাসিরনগর উপজেলাটি ২৪˙ ২০˝ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪ ˙১৫˝ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১˙ ০২˝ পূর্ব দ্রাঘিমাংশতে ৯১˙২০˝ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস